তৈয়বুর রহমান কিশোর,বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার প্রায় তেরোটি গ্রামে সোমবার (১১ মার্চ) থেকে রোজা শুরু হয়েছে। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ উদযাপন করেন তারা। একদিন আগে যারা রোজা ও ঈদ উদযাপন করেন তারা সবাই চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরীফের মুরিদান।
রোববার (১০ মার্চ) স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সৌদি আরবে আনুষ্ঠানিকভাবে চাঁদের খোঁজ শুরু হয়। পরে রাতে চাঁদ দেখার খবরটি নিশ্চিত হওয়া যায়।
জানা গেছে, বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের প্রায় ১৩টি গ্রামের মানুষ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে পবিত্র রোজা পালন শুরু করেন। তাই একদিন আগেই ওই গ্রামগুলোর অধিকাংশ লোকজন ঈদ উদযাপন করে থাকেন।সে অনুযায়ী ওই গ্রামের বাসিন্দারা সোমবার রোজা পালন শুরু করেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা ও পার্শ্ববর্তী আলফাডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. মাহিদুল হক জানান, শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের সহস্রাইল, সহস্রাইল, দড়ি সহস্রাইল, ভুলবাড়িয়া, বারাংকুলা, বড়গাঁ, মাইটকুমড়া, গঙ্গানন্দপুর, রাখালতলী, কাটাগড়, কলিমাঝি, বন্ডপাশা ও জয়দেবপুর, দিঘীরপাড় গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ আগাম রোজা পালন শুরু করেন।
এ বিষয়ে বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল আহমেদ বলেন, শেখর ও পার্শ্ববর্তী রুপাপাত ইউনিয়নের প্রায় ১৩টি গ্রামের আংশিক মানুষ দীর্ঘদিন যাবৎ সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে আগাম রোজা ও দুইটি ঈদ উদযাপন করে আসছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।